ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে নাটকীয়তা

cnপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় দোকান থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনা পাড়া এলাকার রাজামিয়ার ছেলে মোশারফের একটি চায়ের দোকান থেকে ওই অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায় খবর পেয়ে দোকানের ভিতর কাঁথা মুড়ানো অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি একটি এলজি ও একটি বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে। তবে এসময় কাউকে আটক করা হয়নি। পুলিশ বলছে পরিত্যক্তবস্থায় অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটি পক্ষ দাবি করছে ওই দোকানে পুর্ব থেকে অস্ত্র থাকত।

 স্থানীয়রা বলছে জায়গা জমি নিয়ে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। প্রতিপক্ষ লোকজনকে ফাঁসাতে কৌশলে দোকানে অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। টেকঘোনা পাড়ার স্থানীয়রা জানায় মৃত.মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে কবির হোসেন, জাকের হোসেন, আনোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন গংদের সাথে তাদের বোন রজামিয়ার স্ত্রী পুতিলা বেগম, সিকান্দারের স্ত্রী ফজলু বেগম,ভাই আবুল হোসেন, সৎমা ধলা বিবি গংদের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে।

 রাজামিয়ার ছেলে আজিজ, জাহাঙ্গীর আলম জানায় বিগত এক বছর পুর্বে আমার নানা মারা যায়। মামারা আমার মা, খালা ও এক মামাকে পৈত্রিক সম্পত্তি না দিয়ে সকল সম্পত্তি নিজেদের দখলে রাখে। নাল জমিতে বাড়িঘরও তৈরি করেছে। ঘটনার দিন সকালে জমিতে ধানের চারা রোপন করে। এ সময় আমরা দুপুরের দিকে নিষেধও করি। ইফতারের আগে এ পরিকল্পিত ঘটনা অবতারনা করে। অস্ত্র তারা ঢুকিয়ে দিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নামে নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছে মুলত। অস্ত্রটি তাদের। আমরা অত্যন্ত নিরহ। কারো সাথে কখনো অন্যায় করিনি।

 রাজাখালীর দফাদার ফরিদুল আলম জানায় আমাকে নাম পরিচয় না দিয়ে একটি মুঠোফোন থেকে অস্ত্রের সন্ধ্যান দেন। বিষয়টি আমি পেকুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। তবে দু’জন ব্যক্তির নাম জানাতে দফাদার অপরাগতা প্রকাশ করেন। স্থানীয়দের দাবি দফাদার ফরিদ মুলত অস্ত্রের রহস্য কি জানেন। হয়তো প্রতিপক্ষের কাছ থেকে কন্ট্রাক নিয়ে ওই দফাদার তাদের নিজস্ব মানুষ দিয়ে অস্ত্রটি দোকানে ঢুকিয়ে দেয়।

 এ ব্যাপারে জানতে কবির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগকরা হয়। রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। পেকুয়া থানার এসআই বিপুল চন্দ্র রায় জানায় এ বিষয়ে ওসি স্যার বেশি জানবে। বিষয়টি নিয়ে ওসির সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে জানতে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা রহয়। রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: